আগামীকাল শনিবার ঢাকায় বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবেই মহাসমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই সমাবেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে আগামী ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি। আজ রোববার সকাল ১০টার পরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
ফাহির জানেন, আপনার ডেস্কে যে প্লাস্টিকের ফুল ছিল, সেটা আমি এখনো যত্ন করে রেখে দিয়েছি। আমার ডেস্কে আপনার ওই একটা স্মৃতিই আছে। মাঝে মাঝে মনে পড়লে আপন মনে দেখি, আপনার কর্মকাণ্ডের কথা ভাবি। প্লাস্টিকের ফুল তো, শুকাবে না কখনো। মাঝে মাঝে ছবিও তুলে দেব। ঠিকানাটা পাঠাবেন, পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
সাংবাদিক মো. ফখরুল ইসলাম ভূঁঞার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিকেলে অকস্মাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ২৪ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। এই তরুণ আজকের পত্রিকার অনলাইন বিভাগে কাজ করতেন। তিনি ‘ফাহির ফখরুল’ নামে পরিচিত ছিলেন।
সকাল থেকে রাত; ছুটছি, কেবল ছুটছি। ব্যস্ততা। কাল কী হবে, সেই চিন্তায় পালস বেড়ে যায়। কত শত নোটস! ডায়েরি ভরে থাকে পরিকল্পনার কাটাকুটিতে। জীবন যেন এক বুলেট ট্রেন। এক সেকেন্ড এদিক-ওদিক হওয়ার নেই।
অকালপ্রয়াত তরুণ সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা ফাহির স্মরণে গতকাল সোমবার বিকেলে এক শোকসভায় এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান।
জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার আগে যেতে নেই। অন্তত আমাদের দায় মেটানোর সুযোগটা তো দেওয়া উচিত! তা না হলে যে আমাদের নাছোড়বান্দা বিবেক সারা জীবন ঘুমাতে দেবে না। ফাহির, ভাই আমার, কেন অকস্মাৎ এমন করলেন! আপনার উচিত ছিল অনেক দিন সময় দেওয়া। তাতে দিনে দিনে সবার সয়ে যেত।
ফাহিরকে কত নামে যে ডাকতাম আমরা, তার ইয়ত্তা নেই। একটুও মন খারাপ করতেন না। স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে মেনে নিতেন সব। সেই হাসি কি শেষ বেলাতেও ছিল? বিদায় দেওয়ার মুহূর্তেও যে মনে হচ্ছিল, এই বুঝি বলে উঠবেন, ‘আরে পাগলা... কাঁদেন কেন?’
যে ছেলে নিজে ঘুমালে দিন-রাতের হুঁশ থাকে না, বাইক কোথাও রেখে গেলে চাবি নিতে মনে থাকে না, রাস্তার ওপর বাইক পার্ক করে বাসায় চলে আসার পরও মনে পড়ে না যে, বাইক তো আনিনি; সেই ছেলেকে যদি স্নো-পাউডার দিয়ে সাজিয়ে পাত্র হিসেবে উপস্থিত করা হয়, তাহলে কার না হাসি আসে!
এই লেখাটি যখন লিখছি, তখনো ভাবছি—ফাহির কি সত্যিই চলে গেছে? এখনো একটা ঘোর চারপাশে বর্তমান। বোধ হচ্ছে, এই হয়তো কেউ বলবে—‘ফাহির কাল সকালে ডিউটিতে আছে।’ এই কথাটা শোনার আকাঙ্ক্ষা মন থেকে যাচ্ছেই না। কারণ, ফাহির ডিউটিতে থাকলেই যে কাল সকালে অফিসে আসার সময় আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠার একটা ক্ষীণ আশা থেকে যায়। ফ
কুমিল্লার মুরাদনগরের বাসিন্দা ও আজকের পত্রিকার সাংবাদিক মো. ফখরুল ইসলাম ভূঁঞার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১১টায় তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর মিরের পাড় ঈদগাহ জামে মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গতকাল অফিস থেকে ফেরার পথে সবাই আমরা নীরব ছিলাম। ভীষণ নীরব। অফিসের সামনে মাইক্রোবাসে উঠে নিঃশব্দে নেমে গিয়েছিলাম যে যার গন্তব্যে। সম্ভবত সবাই আমরা ফাহিরের কথা ভাবছিলাম। ২৪ বছর বয়সী সাংবাদিক মো. ফখরুল ইসলাম ভূঞা, যে আমাদের কাছে পরিচিত ছিল ফাহির ফখরুল নামে। তাকে আরও সংক্ষেপে ফাহির নামে ডাকতাম আমরা।
আজকের পত্রিকার সাংবাদিক মো. ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শনিবার বিকেলে অকস্মাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ২৪ বছরের এই তরুণ আজকের পত্রিকার অনলাইন বিভাগে কাজ করতেন।